শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বেশি সময় রাখা গেল না একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাহীন আলমকে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। সোমবার রাত ১০টার দিকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শাহীন আলম। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাহীন আলম সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন বলে আজ সোমবারই একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান তার সময়কার আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। যিনি বর্তমানে ভিলেন চরিত্রে বেশি অভিনয় করেন। এর পাশাপাশি শাহীন আলমের দুটি কিডনিই বিকল ছিল বলে জানান ওমর সানী। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসেও ভুগছিলেন।
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় সম্প্রতি আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শাহীন আলম। শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় গত ৬ মার্চ থেকে তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। তার শরীরে জ্বর ছিল। পরীক্ষার পর অভিনেতার করোনা পজিটিভ আসে বলে ওমর সানীকে ফোন করে জানান তার ছেলে ফাহিম নূর। এরপর সোমবার সেটি নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন সানী।
এই অভিনেতা লেখেন, ‘শাহীন আলম আমার বন্ধু, একসঙ্গে পথচলা। অভিনয়েও অসাধারণ। দীর্ঘ সময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছে না। একদম বাদ দিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগে কিডনিজনিত সমস্যার কথা শুনে ওকে দেখতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম ওর কিডনি দুইটাই বিকল। ডায়ালাইসিস করছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। আজ ওর ছেলে ফোন দিয়েছিল। শুধু বলল, আঙ্কেল বাবা লাইফ সাপোর্টে, করোনা পজিটিভ।’
সানী আরও লেখেন, কী করবো বুঝতে পারছি না। শুধু আল্লাহকে বলি, আল্লাহ তুমি সুস্থতা দান করো বন্ধুকে, ফিরিয়ে দাও।’ কিন্তু বন্ধুকে আর ফিরে পেলেন না ওমর সানী। পৃথিবীর নিয়ম মেনে তাকে যেতেই হলো আপন ঠিকানায়।
১৯৮৬ সালে এফডিসি আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন শাহীন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’ ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই নায়ক।
তবে কয়েক বছর আগে অভিনয় ছেড়ে ব্যবসায়ে মন দেন শাহীন আলম। রাজধানীর নিউমার্কেটে তার একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে।